‘‘রখইং ছড়া’’ যেখানে তারাছা খালে এসে মিশেছে, স্মরণাতীতকাল পূর্বে সেই রখইং ছড়ার মোহনায় মারমা উপজাতিদের এক জনপদ গড়ে উঠে। রখইং ছড়ার তীরে এই জনপদ গড়ে উঠায় মারমা উপজাতিদের চিরাচরিত রীতি অনুযায়ী স্থানীয় অধিবাসীরা এই জনপদকে ছড়ার নামে ‘‘রখইং ওয়াহ্’’ নামে অভিহিত করে। ‘‘রখইং ওয়াহ্’’ অর্থ রখইং ছড়ার মোহনা। কালক্রমে ব্যবসা-বাণিজ্যের সূত্র ধরে এখানে পার্শ্ববর্তী চট্টগ্রাম জেলা হতে বাঙালীদের আগমণ ঘটে। ছোট্ট পরিসরে এখানে বাজার গড়ে উঠে। উলেস্নখ্য, ‘‘রখইং বা রাখাইন’’ শব্দের অর্থ বার্মা বা মায়ানমার রাষ্ট্রের আরাকান প্রদেশ বা আরাকানীদেরকে বোঝানো হয়। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় আরাকানকে ‘‘রোয়াং’’ বলা হয়। তাই ‘‘রখইং ওয়াহ্’’কে স্থানীয় বাঙালীরা ‘‘রোয়াংছড়ি’’ নামে অভিহিত করায় তা কালক্রমে প্রচলিত হয়ে উঠে।
বান্দরবান জেলা সদরের ঠিক পূর্বে ৪৪৩ বর্গকিলোমিটার পাহাড়ী এলাকা জুড়ে এই রোয়াংছড়ি উপজেলা। এ উপজেলার মোট জনসংখ্যা ২২,৬২৯ জনের মধ্যে ... জন পার্বত্য অঞ্চলের ড়্গুদ্র নৃ-গোষ্ঠীয়। তাদের অধিকাংশই জুম চাষী। উপজেলার অধিকাংশ ভূমি পাহাড় হলেও এখানে আবাদী জমির পরিমাণ প্রায় ৩,৯৬৩ হেক্টর আছে। এতে বছরে গড়ে ৪,০৯১ মেঃটন ফসল উৎপন্ন হয়।
১৯৭৬ সালের ২৫ অক্টোবর এই এলাকা প্রশাসনিক থানা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে এবং ১৯৮৩ সালে ১৫ মার্চ উপজেলায় উন্নীত হয়।