বান্দরবান পার্বত্য জেলার রোয়াংছড়ি উপজেলাতে কোন বিখ্যাত নাই। রোয়াংছড়ি উপজেলাতে মাজার স্থাপন করার জন্য কোন উদ্যোগ নেই এবং ঐতিহ্য নাই।
মাজার একটি আরবী শব্দ, যা এখন শুধু বাংলাতেই ব্যবহৃত হয়। শব্দটি ফারসী দরগাহ শব্দের প্রতিশব্দ। এর ধাতুগত অর্থ ‘যিয়ারতের স্থান’। মাজার বলতে সাধারণত আওলিয়া-দরবেশগণের সমাধিস্থলকে বোঝায়।
মাজারকে রওযা বা কবরও বলা হয়। এর নিকটবর্তী স্থানে মসজিদ, মাদ্রাসা, মকতব ইত্যাদি গড়ে ওঠে। মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) মদীনার কবরস্থান জান্নাত-আল বাকীতে এবং উহুদযুদ্ধে শাহাদতপ্রাপ্ত সাহাবীদের কবরস্থানে গমন করতেন এবং তাঁদের জন্য দোয়া করতেন।মাজার তৈরী করা সাহাবাদের সুন্নাত।কারণ রাসুলের মাজার সাহাবায় তৈরী করেছিলেন। মাজারের প্রতি মুসলমানদের আকর্ষণ বৃদ্ধি পায় সুফীতরীকাগুলির প্রভাবের ফলে। সুফীতত্ত্বের অনুসারী মুসলমানরা সুফী দরবেশদের কবরস্থান যিয়ারত করতে পছন্দ করেন। অনেক মাজারে সমাধিস্থ ব্যক্তির উরস অর্থাৎ জন্ম-মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়। একে ঈসালে ছওয়াবের মাহফিল বলে। ঐতিহাসিক মাজারগুলি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ওয়াক্ফ সম্পত্তি থাকে এবং খাদিমও থাকেন; অনেক ক্ষেত্রে তাঁরা উত্তরাধিকারসূত্রে এ পদে অধিষ্ঠিত হন।
ভারতীয় উপমহাদেশে বিভিন্ন মুসলিম দেশ থেকে আগত ইসলাম প্রচারক আওলিয়া-দরবেশদের মাজারগুলি এখনও বিদ্যমান, যথা: আজমীরে খাজা মঈনউদ্দীন চিশতির মাজার, দিল্লিতে নিযামউদ্দীন আওলিয়ার মাজার, লাহোরে ফরিদউদ্দীন গঞ্জ-এ-শাক্কারের মাজার, সিলেটে হযরত শাহ জালালের ও হযরত শাহ পরাণের মাজার মাজার, রাজশাহীর শাহ মখদুম মাজার, ঢাকায় শাহ আলী বাগদাদীর মাজার, খুলনায় খানজাহান আলীর মাজার ইত্যাদি। চট্টগ্রাম মাজারের শহর হিসেবে খ্যাত, কারণ সেখানে বারো-আওলিয়ার মাজার আছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস