Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

এক নজরে রোয়াংছড়ি

এক নজরে রোয়াংছড়ি  উপজেলা

ভৌগলিক পরিচিতি

দূর্গম পাহাড়ী প্রাকৃতিক বনাঞ্চল ।

সীমানা-

          উঃ- রাজস্থলি উপজেলা।

          দঃ- রুমা উপজেলা ।

          পূঃ- বিলাইছড়ি উপজেলা।

          পঃ-বান্দরবান সদর উপজেলা।

উপজেলার পটভূমি

‘‘রখইং ছড়া’’ যেখানে তারাছা খালে এসে মিশেছে, স্মরণাতীতকাল পূর্বে সেই রখইং ছড়ার মোহনায় মারমা উপজাতিদের এক জনপদ গড়ে উঠে। রখইং ছড়ার তীরে এই জনপদ গড়ে উঠায় মারমা উপজাতিদের চিরাচরিত রীতি অনুযায়ী স্থানীয় অধিবাসীরা এই জনপদকে ছড়ার নামে ‘‘রখইং ওয়াহ্’’ নামে অভিহিত করে। ‘‘রখইং ওয়াহ্’’ অর্থ রখইং ছড়ার মোহনা। কালক্রমে ব্যবসা-বাণিজ্যের সূত্র ধরে এখানে পার্শ্ববর্তী চট্টগ্রাম জেলা হতে বাঙালীদের আগমণ ঘটে। ছোট্ট পরিসরে এখানে বাজার গড়ে উঠে। উলেস্নখ্য, ‘‘রখইং বা রাখাইন’’ শব্দের অর্থ বার্মা বা মায়ানমার রাষ্ট্রের আরাকান প্রদেশ বা  আরাকানীদেরকে বোঝানো হয়। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় আরাকানকে ‘‘রোয়াং’’ বলা হয়। তাই ‘‘রখইং ওয়াহ্’’কে স্থানীয় বাঙালীরা  ‘‘রোয়াংছড়ি’’ নামে অভিহিত করায় তা কালক্রমে প্রচলিত হয়ে উঠে।
বান্দরবান জেলা সদরের ঠিক পূর্বে ৪৪৩ বর্গকিলোমিটার পাহাড়ী এলাকা জুড়ে এই রোয়াংছড়ি উপজেলা। এ উপজেলার মোট জনসংখ্যা ২২,৬২৯ জনের মধ্যে ... জন পার্বত্য অঞ্চলের ড়্গুদ্র নৃ-গোষ্ঠীয়। তাদের অধিকাংশই জুম চাষী। উপজেলার অধিকাংশ ভূমি পাহাড় হলেও এখানে আবাদী জমির পরিমাণ প্রায় ৩,৯৬৩ হেক্টর আছে। এতে বছরে গড়ে ৪,০৯১ মেঃটন ফসল উৎপন্ন হয়।
১৯৭৬ সালের ২৫ অক্টোবর এই এলাকা প্রশাসনিক থানা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে এবং ১৯৮৩ সালে ১৫ই  মার্চ উপজেলায় উন্নীত হয়।

ইউনিয়ন সমূহ

ইউনিয়নঃ- ০৪(চার)টি।

১) রোয়াংছড়ি সদর, ২) তারাছা, ৩) আলেক্ষ্যং, ৪)  নোয়াপতং

উপজেলার ঐতিহ্য

পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী সকল ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে এ উপজেলায়। প্রত্যেক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর স্বতন্ত্র জীবনধারা এ উপজেলারা অনন্য বৈশিষ্ট্য।

ভাষা ও সংস্কৃতি

বাঙালীসহ ১১টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বসবাস এ উপজেলায়। যাদের প্রত্যেকের আলাদা সংস্কৃতি ও ভাষা রয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা

    এ উপজেলায় কোন মুক্তিযোদ্ধা নেই।

দর্শনীয় স্থান

রামজাদি মন্দিরঃ এই মন্দিরটি বান্দরবন জেলার কালাঘাটাস্থ হদা বাবুর ঘোনা, রোয়াংছড়িতে অবস্থিত। মাত্র ৪ কিলোমিটার মতো দুরত্তে ২ বৃহদাকায় মন্দির এবং ২টিই শহর থেকে একটু বাইরে জনশূন্য এলাকায়।এ মন্দিরে উঠতে হলে প্রায় সাড়ে ৩শ ফুট সিঁড়ি ভেঙে উঠতে হবে।বান্দরবান শহর থেকে খুব একটা দূরে নয়। হাঁটার অভ্যাস থাকলে শহর থেকে হেঁটেই চলে যেতে পারেন।

 

দেবতাখুমঃ  খুমের স্বর্গরাজ্য হচ্ছে বান্দরবান। আর এই খুমেই লুকিয়ে আছে বিশালাকার ঘন ঘন জঙ্গল এবং এর খাড়া পাহাড়ের কারণে দিনের বেলায় ও ভিতরে সূর্যের আলো ঠিকমতো পৌঁছে না। ভেলা ভাসিয়ে যতই আপনি এর গভীরে যাবেন ততই পরিবেশ ঠান্ডা শীতল ও নিস্তব্দতা হতে থাকবে। দেবতাখুমের পাশেই শীলবাধা বয়ে চলা ঝর্ণা।পথ দিয়ে চলতে চলতে পাবেন মেঘমালা।দেবতাখুম যেতে হলে আপনাকে প্রথমে বান্দরবান যেতে হবে।বান্দরবান থেকে রোয়াংছড়ি।রোয়াংছড়ি থেকে কচ্ছপতলী আর্মি ক্যাম্প।কচ্ছপতলী আর্মি ক্যাম্প থেকে অনুমতি নিয়ে ট্রেক করে শীলবাঁধা পাড়া যেতে হবে।অবশ্যই শীলবাঁধা পাড়া থেকে বাঁশের মজবুত ভ্যালা বানিয়ে নিতে হবে।শীলবাঁধা গিয়ে প্রথমে পং সু আং খুম পার হতে হবে। পং সু আং খুম পার হওয়ার পর দেবতাখুমের শুরু।স্হানীয় আদিবাসীদের মতে দেবতাখুম ৫০ ফুট গভীর এবং লম্বায় ৬০০ ফুটের চেয়ে বেশী।

 

তিনাপ সাইতারঃ  পানিপ্রবাহের দিক থেকে তিনাপ সাইতার বাংলাদেশের সব থেকে বড় জলপ্রপাত। এটা পাইন্দু খালের অনেক ভেতরে অবস্থিত। তিনাপ সাইতারে যাওয়ার পথের ঝিরিপথ খুবই আকর্ষণীয়। বর্ষামৌসুমে তিনাপ সাইতারে পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। তিনাপ সাইতার বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ।বান্দরবন বাস স্ট্যান্ড থেকে রোয়াংছড়ি বাসে যাওয়া যায়। বাসে এক ঘন্টা সময় লাগে। রোয়াংছড়ি নেমে পুলিশ স্টেশনে নাম নিবন্ধন করে গাইড ভাড়া করতে হয়। কেপলং পাড়া, পাইখং পাড়া, রনিন পাড়া, দেবাছড়া পাড়া হয়ে তিনাপ সাইতারে পৌছানো যায়।

 

কচ্ছপতলী শিলবান্ধা ঝর্ণাঃ এ ঝর্ণাটি খুব ঐতিহ্যবাহিক স্থান হিসেবে সুপরিচিত।ঝর্ণা পরিচিত হওয়ার পর হতে দূর দুরান্ত থেকে ভ্রমণ পিপাসুর ও পর্যটকদের দৈন্দিন ভীর থাকে। রোয়াংছড়ি থেকে ১০ কিলোমিটার দুরে কচ্ছপতলী ইউনিয়ন সেখান থেকে প্রায় ২কিলোমিটার কাঁচা রাসত্মা পায়ে হেটে গেলেই চোখে পড়বে শীলবান্ধা পাড়া। এই পাড়া থেকে ১০মিনিটের হাঁটা পথ শীলবান্ধা ঝর্ণা।

 

সিপ্পি পাহাড়ঃ সিপ্পি একটি পাহাড়। যার উচ্চতা ২৯৩৯ ফুট।বিভিন্ন আদিবাসীদের ভাষায় এরনাম বিভিন্ন। বম জাতি বলে সিপ্পি , তংঞ্চঙ্গা - রামেতং ,মার্মা – রামাতং, পাংখোয়া – আরসুয়াং যার অর্থ মোরগের ঝুঁটি । এছাড়া রামজুম সহ অনেক নামে ডাকে। সিপ্পি পাড়া থেকে যে তিনটি চুঁড়া দেখা যায় তার দক্ষিনের চুঁড়া ( বামপাশের ) টি সিপ্পি। মাঝেরটি আরসুয়াং। ডানেরটির নাম নাই। কেউ কেউ আবার দক্ষিনের টিকে সিপ্পি আরসুয়াংও বলে। রোয়াংছড়ি থেকে পাইক্ষ্যাং পাড়া যেতে হবে সময় লাগবে ৩ ঘন্টার মত। পাইক্ষ্যাং পাড়া থেকে রনিন পাড়া ২.৪০ ঘন্টার মত লাগবে। রনিনপাড়া থেকে সিপ্পি চুড়ায় যেতে ৪ ঘন্টার মত লাগবে।

 

রনিন পাড়াঃ রনিনপাড়াটি বেশ দুর্গম অঞ্চলে অবস্থিত হলেও ছবির মতো সুন্দর। সব বাড়িই কয়েক ফুট উঁচু খুঁটির ওপরে অবস্থিত। বেশ কয়েকটি ঘরে সোলার প্যানেলের কল্যাণে বিদ্যুতের ব্যবস্থা আছে। এখানে পানির সমস্যাও নেই। সিপ্পির গা বেয়ে নেমে আসা ঝিরিগুলো থেকে লোহার পাইপে করে পানি এনে সরবরাহ করা হয় গোটা গ্রাম জুড়ে।রোয়াংছড়ি থেকে পাইক্ষ্যাং পাড়া যেতে হবে সময় লাগবে ৩ ঘন্টার মত। পাইক্ষ্যাং পাড়া থেকে রনিন পাড়া ২.৪০ ঘন্টার মত লাগবে। 

প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব

উল্লেখযোগ্য প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব নেই।

খেলাধুলা ও বিনোদন

ফুটবল এখানকার প্রধান খেলা। প্রত্যেক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নিজস্ব গান ও নৃত্য রয়েছে। যা তাদের বিভিন্ন উৎসবে পরিবেশন করা হয়।

প্রাকৃতিক সম্পদ

এ উপজেলায় কোন খনিজ সম্পদ নেই। তবে বনজ ও ফলজ সম্পদে ভরপুর এ উপজেলা

নদ-নদী

সাংগু নদী ও তারাছা খাল।

ব্যবসা-বাণিজ্য

প্রধানত আম,আনারস,কলা, আদা ও হলুদের ব্যবসার প্রাণকেন্দ্র এ উপজেলা।

হোটেল ও আবাসন

এ উপজেলায় বেসরকারী পর্যায়ে ১টি আবাসিক হোটেল ও ২টি হোটেল আছে।

যোগাযোগ ব্যবস্থা

সীমিত পাকা সড়ক ও নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থা। অধিকাংশ এলাকা পায়ে হাঠা পাহাড়ী পথ।

পত্র পত্রিকা

স্থানীয় ভাবে কোন পত্রিকা প্রকাশিত হয় না।

হাট-বাজার

০৫(পাঁচ)টি ।

জাতীয় সংসদ সদস্য

জনাব বীর বাহাদুর উশৈসিং

মাননীয় সংসদ সদস্য

৩০০-পার্বত্য বান্দরবান।

 

চেয়ারম্যান গণ

 উপজেলা পরিষদ- জনাব চহাইমং মারমা

 ১ নং রোয়াংছড়ি সদর ইউপি- চহ্লামং মারমা

 ২ নং তারাছা ইউপি- উথোয়াই চিং মারমা

 ৩ নং আলেক্ষ্যং ইউপি-বিশ্বনাথ তংচংগ্যা

 ৪ নং নোয়াপতং ইউপি- অং থোয়াই চিং মারমা

 

 

স্বাস্থ্য বিষয়ক

( ইউনিয়ন/ পৌরসভা ভিত্তিক)

হাসপাতাল / স্বাস্থ্যকেন্দ্র- ০১

রেজিষ্টার্ড ডাক্তার        - ০৪

বেডের সংখ্যা- ১০

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র-

মাতৃ ও শিশু মংগল কেন্দ্র- ০১

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান

 

 

মসজিদ- ০৪

মন্দির-০২

গীর্জা-০৮

বৌদ্ধ বিহার-২৪

প্রশাসনিক থানা

 ০১ টি

জনসংখ্যা (২০০১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী)

 ২২,২৬৯ জন (পুরুষ ১২,৬৬২ জন,মহিলা ৯,৯৬৭ জন)

ঘনত্বঃ ৫০ জন (প্রতি বর্গকিলোমিটার) (প্রায়)

হাউজহোল্ড

 ৫,০০০ টি

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

মাধ্যমিক বিদ্যালয়   ০১ টি (সরকারী)

 নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়        ০৩ টি

 প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান       ৪৪ টি   : সরকারী - ২৪

 রেজিঃ বেসরকারী  ১৬ টি

 কমিউনিটি           ৩ টি

 বেসরকারী           ১ টি

 এবতেদায়ী মাদ্রাসা ০১ টি

বিদ্যালয় গমণোপযোগী শিশু

 ৩,০৫৩ জন        

বিদ্যালয় গমণোপযোগী শিশু ভর্তির হার

 ২০% (প্রায়)

শিক্ষার হার

 ২০%